কীভাবে এতটা ফিট থাকেন আনুশকা? জানুন সেই রহস্য

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। কয়েক বছর ধরে সিনেমা থেকে দূরে থাকলেও তাকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। এখন দুই সন্তান ও স্বামী-সংসার নিয়েই ব্যস্ততা আনুশকার। ৩৭ বছর বয়সেও নিজেকে ফিট রেখেছেন তিনি। নতুন সিনেমায় না দেখা গেলেও পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় প্রায়ই নতুন নতুন লুকে ধরা দেন এই তারকা।

 

আনুশকার কাছে ফিট থাকার রহস্য আগেই রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ও ঘুমিয়ে পড়া- এটিই তার শরীরের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই অভ্যাসকে জীবনের অংশ করে নিয়েছেন আনুশকা। প্রায় এক বছর আগে স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমা আয়োজিত এক শো-তে স্বামী বিরাট কোহলির সঙ্গে অংশ নিয়ে আনুশকা জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাদের মেয়ে ভামিকার কারণে তারা এখন আগে খাওয়া ও ঘুমের অভ্যাসে চলে এসেছেন এবং এর ফলে কী কী স্বাস্থ্য উপকার পাচ্ছেন তিনি।

 

সেই অনুষ্ঠানে আনুশকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন কী অভ্যাস আছে যা অন্যদের শেখা উচিত? জবাবে তিনি মজা করে বলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া, কারণ আমার কোনো সোশ্যাল লাইফ নেই! এরপর গুরুত্ব দিয়ে জানান, যেটা সত্যিই মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তা হলো- তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া ও ঘুমিয়ে পড়া।

 

আনুশকা বলেন, আমি তাড়াতাড়ি ডিনার করি, আর আমি মনে করি এটা আমার শরীরের পক্ষে দারুণ কাজ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যেই আমার ডিনার শেষ হয়ে যায়। আমি মেয়ের সঙ্গে খাই। ও দুপুরে ১১টা বা সাড়ে ১১টার দিকে লাঞ্চ করে, তখন আমিও লাঞ্চ করি। এতে আমি ভালো বিশ্রাম পাই, ভালো ঘুম হয়। আমার ঘুম সংক্রান্ত সব সমস্যা চলে গেছে। আমি সকালে আরও ফ্রেশ বোধ করি, আমার শক্তি বেশি থাকে, মাথা পরিষ্কার কাজ করে। আমি মনে করি এই পরিবর্তনের পুরো কৃতিত্বই যায় তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাসের প্রতি, কারণ এটিই একমাত্র পরিবর্তন যা আমি করেছি।”

 

আরেকটি সাক্ষাৎকারে আনুশকা আরও জানান, তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়ার ফলে তার ব্রেন ফগ বা মস্তিষ্কে ঝিমঝিম ভাব অনেকটাই কমে গেছে। এই অভ্যাস মূলত সময় বাঁচানোর সুবিধা থেকে শুরু হলেও পরে তিনি ও বিরাট সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে খেয়ে রান্নাঘর বন্ধ করে দেওয়ার। “এখন পুরো পরিবার এই নিয়ম মেনে চলে,” বলেন তিনি।

 

ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এর গবেষণা অনুযায়ী, দিন শেষে দেরিতে খাওয়ার ফলে বিপাকজনিত (মেটাবলিক) সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সকাল ও সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাস- যেমন তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট ও ডিনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থাও উন্নত হয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ঈদ উল আযহা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষন ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিজিবি

» সৌদির সাথে মিল রেখে জামালপুরে ২০ গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপন

» আমিরাতে ঈদুল আজহা উদযাপন

» সীমান্তে গরু চোরাচালান কমলেও হত্যা থামেনি : আজাদ মজুমদার

» দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

» এবার নিরাপত্তা নিয়ে শতভাগ কনফিডেন্ট আছি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা

» বিপুল পরিমাণ মাদকসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

» ঢাকার একটি ঈদ জামাতও নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না: ডিএমপি কমিশনার

» তারুণ্যনির্ভর আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত জয়

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কীভাবে এতটা ফিট থাকেন আনুশকা? জানুন সেই রহস্য

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। কয়েক বছর ধরে সিনেমা থেকে দূরে থাকলেও তাকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। এখন দুই সন্তান ও স্বামী-সংসার নিয়েই ব্যস্ততা আনুশকার। ৩৭ বছর বয়সেও নিজেকে ফিট রেখেছেন তিনি। নতুন সিনেমায় না দেখা গেলেও পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় প্রায়ই নতুন নতুন লুকে ধরা দেন এই তারকা।

 

আনুশকার কাছে ফিট থাকার রহস্য আগেই রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ও ঘুমিয়ে পড়া- এটিই তার শরীরের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই অভ্যাসকে জীবনের অংশ করে নিয়েছেন আনুশকা। প্রায় এক বছর আগে স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমা আয়োজিত এক শো-তে স্বামী বিরাট কোহলির সঙ্গে অংশ নিয়ে আনুশকা জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাদের মেয়ে ভামিকার কারণে তারা এখন আগে খাওয়া ও ঘুমের অভ্যাসে চলে এসেছেন এবং এর ফলে কী কী স্বাস্থ্য উপকার পাচ্ছেন তিনি।

 

সেই অনুষ্ঠানে আনুশকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন কী অভ্যাস আছে যা অন্যদের শেখা উচিত? জবাবে তিনি মজা করে বলেন, তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া, কারণ আমার কোনো সোশ্যাল লাইফ নেই! এরপর গুরুত্ব দিয়ে জানান, যেটা সত্যিই মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তা হলো- তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া ও ঘুমিয়ে পড়া।

 

আনুশকা বলেন, আমি তাড়াতাড়ি ডিনার করি, আর আমি মনে করি এটা আমার শরীরের পক্ষে দারুণ কাজ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যেই আমার ডিনার শেষ হয়ে যায়। আমি মেয়ের সঙ্গে খাই। ও দুপুরে ১১টা বা সাড়ে ১১টার দিকে লাঞ্চ করে, তখন আমিও লাঞ্চ করি। এতে আমি ভালো বিশ্রাম পাই, ভালো ঘুম হয়। আমার ঘুম সংক্রান্ত সব সমস্যা চলে গেছে। আমি সকালে আরও ফ্রেশ বোধ করি, আমার শক্তি বেশি থাকে, মাথা পরিষ্কার কাজ করে। আমি মনে করি এই পরিবর্তনের পুরো কৃতিত্বই যায় তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাসের প্রতি, কারণ এটিই একমাত্র পরিবর্তন যা আমি করেছি।”

 

আরেকটি সাক্ষাৎকারে আনুশকা আরও জানান, তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়ার ফলে তার ব্রেন ফগ বা মস্তিষ্কে ঝিমঝিম ভাব অনেকটাই কমে গেছে। এই অভ্যাস মূলত সময় বাঁচানোর সুবিধা থেকে শুরু হলেও পরে তিনি ও বিরাট সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে খেয়ে রান্নাঘর বন্ধ করে দেওয়ার। “এখন পুরো পরিবার এই নিয়ম মেনে চলে,” বলেন তিনি।

 

ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এর গবেষণা অনুযায়ী, দিন শেষে দেরিতে খাওয়ার ফলে বিপাকজনিত (মেটাবলিক) সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সকাল ও সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণের অভ্যাস- যেমন তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট ও ডিনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি উৎপাদন ব্যবস্থাও উন্নত হয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com